বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শেষ রক্ষা হলো না, ১২ বছরের দণ্ড কাঁধে নিয়েই কারাগারে যেতে হলো মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) উচ্চ আদালতে আপিল খারিজ হওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে ২০২০ সালে তাঁকে এই দণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, মালয়েশিয়ার ৬৯ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় তহবিল ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদের (ওয়ানএমডিবি) কোটি কোটি মার্কিন ডলারের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে দণ্ডিত। এই অপরাধে ২০২০ সালের ২৮ জুলাই তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন দেশটির একটি আদালত। একই সঙ্গন্ডিকে প্রায় ৫ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানাও করা হয়েছিল।
আর এর মধ্য দিয়ে উচ্চ আদালত প্রত্যাখ্যান করেছেন রাজাকের সাজা বিলম্বিত করার অনুরোধ। মালয়েশিয়ার শক্তিশালী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ২০২০ সালে ওই দণ্ড ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করেছিলেন। আপিলের সময় তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। শুরু থেকেই রাজাক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
এর আগে তিনি ১০ বছর দাপটের সঙ্গে মালয়েশিয়া সরকারের নেতৃত্ব দেন।
ওয়ানএমডিবি দুর্নীতির মামলার সাত অভিযোগের সবগুলোতে নাজিব রাজাককে দোষী সাব্যস্ত করেন মালয়েশিয়ার আদালত। প্রতিটি অভিযোগের জন্য আলাদাভাবে সাজা ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে একটি অভিযোগে নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া দায়িত্বে থেকে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের তিনটি অভিযোগের প্রতিটিতে তাকে ১০ বছর করে এবং মুদ্রা পাচারের তিনটি অভিযোগের প্রতিটিতে ১০ বছর করে সাজা দেওয়া হয়। রায়ে বলা হয়, নাজিবের সব কটি ধারার সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে। ফলে সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১২ বছর জেল খাটতে হবে তাকে।
আইনজীবীদের অভিযোগ, নাজিব ওই রাষ্ট্রীয় তহবিলের ১০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে সরিয়ে নেন।
দুর্নীতির কারণে ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিবের দল ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) নেতৃত্বাধীন জোটের ভরাডুবি হয়। ওই নির্বাচনে জয়ী হয় ইউএমএনওর সাবেক নেতা মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বাধীন নতুন জোট পাকতান হারাপান।